“নিজেকে বদলাও, ভাগ্য নিজেই বদলে যাবে”
যারা চাকরি নিয়ে হতাশ, এই অনুপ্রেরণামূলক গল্প শুধু তাদের জন্য
১.একজন ছাত্রের কথা জানি, ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করেছিলেন তাকে। তার আবিষ্কার দিয়ে তিনি পৃথিবী আলোকিত করেছেন ।
* তার নাম - টমাস আলভা এডিসন।
২.আরেকজন অসহায় ছেলের কথা জানি।
যার বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দুই দিন সময় লেগেছিলো। কে সেই ছেলে জানেন...?
*সেই ছেলে আজকের ফুটবল কিংবদন্তী - রোনাল্ডো।
৩.আমরা একজন কয়েদীর কথা জানি, কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪। ২৭ বছর জেলে থেকেও তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।
* তিনি - নেলসন মেন্ডেলা।
৪.আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানি।
তার থাকার কোনো ঘর ছিল না, বন্ধুদের ঘরের ফ্লোরে ঘুমাতেন। ব্যবহার করা কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে আয় করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনে খেতেন। প্রতি রবিবার রাতে সাত মাইল হেঁটে তিনি হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।
* তিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও- স্টিভ জবস।
৫.শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। নাম্বার 7 কে তিনি উল্টা নাক বলতেন...!!!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন লেখক, কবি, কেমিস্ট, পেইন্টার, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর।
* তিনি - পাবলো পিকাসো।
৬.তিনি শব্দগুলোকে উল্টো লিখতেন, পড়ালেখায় একদম শুন্য। তিনি উড়োজাহাজ আবিষ্কারের ৪০০ বছর আগে উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন।
* তিনি - লিওনার্ড দ্য ভিঞ্ছি।
৭.আরেকজন এতিমের কথা জানি।
১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়স হলে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক বিখ্যাত বই এর লেখক তিনি, তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” অন্যতম একটি, যদিও কোন দিন তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই।
* তিনি বিখ্যাত লেখক, রাজনীতিবিদ ও নাট্যকার - ম্যাক্সিম গোর্কি।
৮. আরেক উদ্যমী যুবকের নাম জানি, মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
* তিনি - বিল গেটস।
৯.অভাবের তাড়নায় করতো কুলিগিরি। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। ছেলেটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি- পরবর্তীতে সেই ছেলেই হয় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।
*তার নাম - জন মেজর।
১০.বাবা ছিলেন জেলে। ছেলেকে সাথে নিয়ে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভাল ভাবে দেখতে পেতেন।
* সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার - জয়সুরিয়া”
১১.আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারের অভাব এতই বেশি ছিলো যে- স্কুল পর্যন্ত পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যাক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।
* তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা - মাও সেতুং।
১২. পড়ালেখায় অনেক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোন কিছু মনে রাখতে পারতেন না। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকতেন, বারবার ফেল করেছেন । ক্লার্ক এর চাকরিও করছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিবিটি দিয়ে। তিনি জিতেছেন নোবেল ও।
* তাট নাম - আলবার্ট আইনস্টাইন।
পৃর্থিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার চিন্তা-ভাবনাগুলি তারই মত। যা সবাই পারে, তা আমাকেও পারতে হবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমান করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা সেখানেই, আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে সবাইকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট হতেই হবে..., আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে...যে ভাবেই হোক… দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলবো...!!!
একটা কথা মনে রাখবেন “পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি মাছকে তাল গাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন, তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে” আলবার্ট আইন্সটাইন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন