চিত্র নায়িকা পরীমনি ও ডিবি অফিসার সাকলয়নের গোপন ভিডিও প্রকাশ
চিত্র নায়িকা পরীমনি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরীমনীর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তারা মন দেয়া নেয়াও করেছেন। সঙ্গ দিয়েছেন বেশ ক'বার। বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনা চলছিলো। কিন্তু কেউ তেমন পাত্তা দেয়নি। অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এখন তার ভিডিও বের হওয়ার পর বিষয়টি সকলের মুখে মুখে। যেই সেই গোলাম সাকলায়েনের ভিডিও দেখছেন সেই দু:খ করছেন। বলছেন একজন নিম্ন মধ্যবিত্তের সন্তান কিভাবে এই উচু সিড়িতে পা রাখলো। তাও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সেই বাদীর প্রেমে পড়ে হাবুডবু খেয়েছেন। তার ভিডিও দেখার পর তার শভাকাংখীরা এখন কি বলবেন।এই ঘটনা নিয়ে এখন সাকলাইনের উজ্জল ক্যারিয়ার ধ্বংস হতে বসেছে আর যারা শিথিলের পক্ষে নগ্ন দালালি করেছেন ও লেখালেখি করেছেন তাদেরই বা কি অবস্থা। তারা মুখ দেখাতে পারবেন তো?। তবে ভাল কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম বলেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক এডিসি গোলাম সাকলায়েনের প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় পুলিশ বাহিনী বিব্রত। আমরা খুবই লজ্জিত।
তদন্তকর্মকর্তার অনৈতিক হাতছানি একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমুর্তিকে ম্লান করেছে অন্যদিকে গোটা জাতিকে হতাশ করেছে একজন চৌকস, সাহসী ও মেধাবী পুলিশ কর্তার কর্মকাণ্ড। কি না ছিল তার। তবুও চাই। পরীর নানান কৌশল আর তীক্ষ্ণতার কাছে হেরে যান এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিল। পরীর বুদ্ধিমত্তা শিথিলকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। কিছুই টের পাননি শিথিল। শেষমেশ ফেঁসে যাচ্ছেন। একান্ত সময় কাটানো। পরীর বাসায় তদন্তের নামে কারণে অকারণে নিয়মিত যাতায়াত ঘনিষ্টতাকে আরো একধাপ এগিয়ে দেয়। দুরদর্শি কৌশল আর মামলার ফলাফল ভাগিয়ে নিতে যা যা করার দরকার সবই করেছে পরীমনি,যা এখন জনস্মুখে প্রকাশ পায়।
পরীমনি ডানা মেলে উজার করেছে নিজেকে। তার হাতছানি ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতর করে দিয়েছে শিথিলকে। আলাপচারিতায় শিথিল নিজেকে অবিবাহিত বলেছেন। কিন্তু তিনি বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ঢাকার অদুরে এক উপজেলায় সরকারী চাকরিতে আছেন। এসব কিছু জেনে আরো জেদী হয়ে উঠেন পরী। এসবই বলেছেন ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে। তাহলে শিথিলের অভাবটা কি? সত্যি তার কত সম্মান আর কতটাকা দরকার? আর পরীর ভালবাসার নকল হাতছানিতে হেলে যাওয়া দরকার ছিলো?। কেনইবা গোলাম সাকলায়েন তার ফ্ল্যাটে ডেকে আনবেন পরীকে। কেন পরীকে নিজে নিচে গিয়ে রিসিভ করলেন? কেনইবা তার সাথে একই গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াবেন, একান্ত সময় কাটাবেন। পরীর ড্রাইভার মিডিয়ায় এসে সাক্ষাৎকার দিয়ে বললেন শিথিল স্যার ম্যাডামকে নিয়ে ঘুরেছেন। একসাথে হাতির ঝিলের নিরব রাস্তায় হাতে হাত ও এলিয়ে দুলিয়ে বসে মদ পান করেছেন,এই সব ঘটনার সত্যতাও মিলেছে এখন ভিডিওতে।
কারো সাথে দেখা করতে এলে ট্রলি ব্যাগ লাগে? কিন্তু পরীমনি তাই করেছেন। শিথিলের বাসায় মেহমান সেজে আসার সময় বেশ বড়সড় কালো রঙের একটি ট্রলি ব্যাগ হাতে করে এনেছেন। তাও নিজে বহন করেননি। অন্য একজন যুবক ওই ট্রলি ব্যাগটি বহন করে শিথিল ও পরী যে লিফটে উঠেন সেই লিফটে রেখে চলে যান। ব্যাগটির ভেতরে কি ছিলো তা হয়তো অনেকেই অনুমান করেছেন। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা তো করতেই হবে। তবে ওই ব্যাগটি যে ওজন তা রিসিপশনের লোকজন অনুমান করেছেন বলে জানা গেছে। যারা পরীর সাথে এসেছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হয়তো কিছু বেরিয়ে আসবে। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এডিসি সাকলায়েনের ব্যাংক হিসাব দেখারও প্রয়োজন। তাহলে হয়তো কিছু বেরিয়ে আসতে পারে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন পরীমনি সুকৌশলে শিথিলকে তার বাসায় কারণে অকারণে ডেকে নিতেন। ধরে নিলাম পরী আবেদন করেছে শিথিলকে কাছে পেতে। কিন্তু শিথিলতো গোয়েন্দা ট্রেনিং প্রাপ্ত। তিনি কেন তার পাতানো ফাঁদে পা রাখলেন। শিথিলের বাসায় আসলেই কি ১৮ ঘন্টা কাটিয়েছেন পরী? তাহলে ওই একান্তে অবস্থানের হেতু কি? তবে অনেকেই বলেছেন যদি তাদের মাঝে অনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নাই থাকতো তাহলে কেন ঘন ঘন দেখা করতো। কেনইবা শিথিল পরীর মেহমান হতেন মাঝে মধ্যে। পরীর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করলে হয়তো কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
ডিএনএ হচ্ছে একজন ব্যক্তির বংশগতির মৌলিক উপাদান। দুজন মানুষের ডিএনএ প্রোফাইল কখনো এক হয় না। এমনকি কিছু গবেষণা বলছে, হুবহু যমজদেরও ডিএনএ প্রোফাইল হুবহু এক হয় না। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের সাহায্যে ন্যূনতম জৈবিক নমুনা থেকেও কোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং অপরাধস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার ডিএনএ প্রোফাইল করা হয়। তারপর সেগুলোর তুলনা করে মিল বা অমিল খুঁজে বের করা হয়। জৈবিক নমুনা অর্থাৎ রক্ত, লালা, বীর্য, চুল, মাংসপেশি, হাড় ইত্যাদি ডিএনএর গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। পরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে আলামত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা খুব জরুরি। তাই শিথিল ও পরীর ডিএনএ ল্যাব টেস্ট জরুরী। তাহলে পরীর যে কথা তার সত্য মিথ্যটা বেরিয়ে আসবে।
পরীর বাসায় শিথিল শীতল হাওয়ায় আসক্তি মনে হয়েছে। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরীমনি রুপ লাবন্যে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তাই তার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। তিনিও নিজের গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। বেড়ে গেছে পরীমনিন প্রতি আসক্তি। এদিকে পরীও এসব কিছু বলে দিয়েছে ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে। শিথিল যদি ও পরীর বাসা ও একান্তে সময়দানের বেলায় মদ্যপান করেই থাকেন তাহলে ডোপ টেষ্ট করলেই প্রমাণ মিলবে। এছাড়া পরীমনি ড্রাইভার নাজির জানিয়েছেন পরীমনি ম্যাডাম আর শিথিল স্যার হাতির ঝিলে মদ পান করেছেন। একই ফর্মমুলাতেই তদন্ত করা যেতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
এখানেই শেষ নয়।তার মামলা চলাকালীন এবং দায়ের করা মামলাটির তদন্ত শেষ। প্রমাণ পায়নি ধর্ষণের। সেই থেকেই তাদের মধ্যে ঘন ঘন ফোনালাপ হতো। তারা একজন অপরজনকে ভালবেসে ফেলেন। একথাটি তো সাকলায়েনও স্বীকার করেছেন। সংশ্লিস্টরা জানান সেই থেকেই পরীর মাথায় ঢুকে ভিন্ন ফন্দি। এর আগেই প্রেমের ভান করে যা যা করার তাই হয়েগেছে দু'জনার। একজন অপরাধ বিশেজ্ঞ বলেছেন পরীর ফন্দিটা ছিলো পরিকল্পিত। তিনি হিসাব করেই পা রেখেছেন। পহেলা আগস্টে শিথিলের সরকারী বাস ভবনে যাওয়ার আগে বেশ ক'বার তাদের মাঝে ফোনালাপ হয়েছে। অনেক রসালো কথা বলতেও ছাড়েননি পরী। গোলাম সাকলায়েনের কল লিস্টই যথেস্ট প্রমাণ বহন করবে। তারা কে কাকে কয়বার কল করেছে, কোন সিম ব্যবহার করেছে সবই তো আজকাল ডিজিটাল প্রযুক্তির বদৌলতে পাওয়া সম্ভব।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকে নিবৃত করে নেয়া গোলাম সাকলায়েন শিথিল এবং নায়িকা পরীমনির সম্পর্ক তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদরদফতর। ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। রাতে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা বলেন, গোলাম সাকলায়েন শিথিল এবং নায়িকা পরীমনির ইস্যু তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন- পুলিশ সদরদফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ করিম।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভীন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রুমানা আক্তার।
এর আগে শনিবার (৭ আগস্ট) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবির সব দায়িত্ব থেকে নিবৃত করা হয়। পরে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে পদায়ন করা হয়। পরীমনি গত জুন মাসে বোটক্লাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করার পর যে মামলা হয়েছিল, সেটির তদন্তকালে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমনি তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ আনলে মামলা হয়।
মামলার পরদিনই আসামি হিসেবে ক্লাব নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও কয়েকজন সহযোগী। মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে পরীমনিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমনির। এরপর দুজনের মধ্যে শুরু হয় যোগাযোগ। নিয়মিত পরীমনির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন গোলাম সাকলায়েন শিথিল। মাঝে-মধ্যেই গাড়ি নিয়ে বের হতেন দুজনে।
সবশেষ পরীমনি ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের রাজারবাগের মধুমতি ভবনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। ৪ আগস্ট রাতে গ্রেফতারের পর পরীমনি অকপটে স্বীকার করেছেন সবকিছু। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, পরীমনিকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত রাজারবাগের মধুমতি বাসভবনের কেয়ারটেকার শামীমকে সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআরসহ পুলিশ সদরদফতরে ডেকে পাঠান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরীমনির বক্তব্যের সত্যতা পান।
পরীমনির গাড়িচালক মোঃ নাজির হোসেন ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা করে জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল ৭টার দিকে পরীমনির ফোন পেয়ে তিনি বনানীর বাসায় যান। সেই বাসা থেকে এক সাথে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও পরীমনি হ্যারিয়ার গাড়িতে ওঠেন। এরপর তিনি তাদের ওই পুলিশ কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে নামিয়ে চলে যান। আবার রাতে ফোন পেয়ে সেই ভবনের সামনে যান। তখন তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা নানা প্রশ্ন করেছিলেন।
এরই মধ্যে পরীমণি- সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, ১ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীমণির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের রাজারবাগের অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি নম্বর সরকারি ফ্ল্যাটে বাসায় আসেন। প্রথমে সেই গাড়ি থেকে লাল রংয়ের টি-শার্ট পরে বের হন সাকলায়েন। সাদা রংয়ের একটি স্লিপিং গাউন পরে নামেন নায়িকা পরীমনি। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন আলোচিত নায়িকা পরীমণি। রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দু’জন লিফটে প্রবেশ করেন। এসময় পরীর লোকজন একটি ট্রলি ব্যাগ লিফটে দিয়ে চলে যান। এরপর রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে আবার আসে পরীমণির গাড়ি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক।
পরীমণির গাড়িচালক নাজির জানান, পরীমণি ম্যাডামের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ডিবির কর্মকর্তা সাকলায়েন স্যারের। এর আগেও হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দু’জন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন। মদ খেয়েছেন। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে পরীমনির বিয়ে হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাজির জানান তিনি বিষয়টি সঠিক জানেন না, তবে শুনেছেন যে তারা বিয়ে করেছেন। ঘটনা জানাজানির পর প্রাথমিক তদন্তে সাকলায়েনের সাথে পরীমণির সরকারি ফ্ল্যাটে প্রবেশ এবং দীর্ঘ সময় অবস্থানের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ।
এ ব্যাপারে গোলাম সাকলায়েন পরীমণির সাথে সম্পর্ক এবং সরকারি বাসায় প্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার না করে বলেন, মামলাটির চার্জশিট জমা দেয়ার পর, পরীমণি কেনো যেকোনো কারো সাথে সম্পর্ক-চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। সংবাদ প্রকাশের পর ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে গোলাম সাকলায়েন যোগাযোগ করেন।
সে সময় তিনি বলেন, ‘পরীমনির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। কার সাথে আমি গাড়িতে ঘুরবো সেটা একটি অন্য বিষয়। তবে পরীমনিকে আমি বিয়ে করিনি।’
তিনি আরো প্রশ্ন রাখেন, ‘আমি কার সাথে ঘুরবো না ঘুরবো, সেটা এভাবে নিউজে আসবে কেন।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর, পরীমনি এই মুহূর্তে ডিবি কার্যালয়ে আছে সেখানেও তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’ কোন কোন মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নায়িকা পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ ওঠায় গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি) কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ পরী-সাকলায়েনের আর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি ফাঁস করা হয়। সেখানে দেখা যায়, সাবেক ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েন একটি কেক পরীকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেন। পরে পরীমণি তাকে কেকটি খাইয়ে দেয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন